ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালান আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরপর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতে ভূমিকা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এতদিন এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও, অবশেষে মুখ খুলেছে দেশটি। সরকার উৎখাতে তাদের কোনো ভূমিকা নেই জানিয়ে এটিকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে হোয়াইট হাউজ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল না। বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগকে মিথ্যা বলেও জানায় হোয়াইট হাউস। সোমবার (১২ আগস্ট) এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না (সরকার উৎখাতে)। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।’
এর আগে, রোববার (১১ আগস্ট) ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে পলাতক হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে পত্রিকাটির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় অবশ্য রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।
ঢাকা
| বঙ্গাব্দ
