ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বে আয়াক্স ও প্যানাথিনাইকোসের ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে রীতিমতো ম্যারাথন টাইব্রেকার দেখেছে ফুটবলপ্রেমীরা। দুই দল মিলে মোট শট নিয়েছে ৩৪টি। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স। ১৩-১২ ব্যবধানে জিতে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
ম্যাচ জয়ে মূল ভূমিকা রেখেছেন আয়াক্সের ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষক রেমকো পাসভির। ৫টি সেভের পাশাপাশি টাইব্রেকারে গোল করেছেন এই গোলরক্ষক। এছাড়া নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও একাধিকবার দলকে রক্ষা করেছেন রেমকো।
গত সপ্তাহে এথেন্সে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের খেলায় আয়াক্স জিতেছিল ১–০ ব্যবধানে। তবে কাল রাতে আমস্টারডামে নিজেদের মাঠে একই ব্যবধানে তারা হেরে যায়। দুই লেগ মিলিয়ে ১–১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
সেখানে পানাথিনাইকোস প্রথম শট এবং আয়াক্স পঞ্চম শট মিস করলে সমতা দাঁড়ায় ৪–৪। এরপর শুরু হয় সাডেন ডেথ। একটি করে শট, যে দল এগিয়ে থাকবে তারাই জয়ী।
তবে টাইব্রেকার চলে ১৭তম রাউন্ড পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত পানাথিনাইকোসের টনি ভিলহেনা শট মিস করলেও আয়াক্সের হয়ে বল জালে জড়ান অ্যান্টন গায়েই। প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী টাইব্রেকার বা পেনাল্টি শুটআউটে আয়াক্স ম্যাচ জেতে ১৩–১২ গোলে।
ফুটবলের তথ্য–উপাত্ত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অপটা বলছে, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটি পেনাল্টি শুটআউটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ইউরোপা লিগের প্রথম কোয়ালিফাইং রাউন্ডে মাল্টার ক্লাব জিরা ইউনাইনেড নর্দান আয়ারল্যান্ডের গ্লেনটোরানকে হারিয়েছিল ১৪–১৩ গোলে।