ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের ডানপন্থীরা

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াসহ বেশ কিছু মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়া তথ্য। ভারতের ডানপন্থীরা এসব গুজব বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
  • | ১৮ আগস্ট, ২০২৪
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের ডানপন্থীরা সংগৃহীত

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াসহ বেশ কিছু মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়া তথ্য। ভারতের ডানপন্থীরা এসব গুজব বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।


বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে ভারতের ডানপন্থী প্রভাবশালীরা ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। যার মধ্যে কিছু সাম্প্রদায়িক ভিডিও আছে যেগুলোর বাংলাদেশের ঘটনার সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভিডিওগুলোতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখানো হয়েছে।


সেরকম একটি ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, একটি মন্দিরে ‘বাংলাদেশে ইসলামবাদীরা’ আগুন দিয়েছে। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, চট্টগ্রামের নবগ্রহ মন্দিরটি কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। গত ৫ আগস্ট বিকেলে মন্দিরের পিছনে আওয়ামী লীগের অফিস চত্বরে হামলা হয়।


মন্দিরের একজন কর্মী স্বপন দাস বিবিসিকে বলেন, তারা আওয়ামী লীগের অফিসের আসবাবপত্র বাইরে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। যদিও সেদিন মন্দিরে হামলা হয়নি, তবে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল এবং মন্দিরটি চব্বিশ ঘন্টা পাহারা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টুল ব্র্যান্ডওয়াচ অনুসারে, বাস্তবতা থেকে অনেকটা আলাদা করে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে গত ৪ আগস্ট থেকে বিভিন্ন হ্যাসট্যাগ ব্যবহার হয়েছে যার প্রত্যেকটা প্রায় ১ মিলিয়ন বার করে ব্যবহার করা হয়েছে। যার অধিকাংশ অ্যাকাউন্টগুলো ভারতের।


অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন বাংলাদেশি হিন্দু ক্রিকেটারের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, বাড়িটি আওয়ামী লীগের একজন মুসলিম এমপির। এই পোস্টগুলোর মধ্যে কিছু ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক লক্ষ্যবস্তু কয়া হচ্ছে, তারা বাংলাদেশে নিরাপদ না। এই বিষয়গুলো ভারতীয় অ্যাকাউন্টগুলো থেকে প্রচার করা হচ্ছে।


হিন্দুদের ওপর হামলার ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়লে, কিছু মুসলিম প্রতিবাদকারীরা হিন্দু মন্দির পাহারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের বাইরে হাটরাজির একটি মন্দিরের সামনে পাহারা দেয়া মইনুল বলেন, তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে সংঘাতকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে আমরা এর জন্য পড়ে যাচ্ছি না।