সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যার ঘটনায় প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে ভারতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তারের ৮৭ দিনের মাথায় শনিবার বারাসাত আদালতে প্রায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।
সিআইডি সূত্রের খবর, চার্জশিটে গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার এবং সিয়ামের নাম আছে। তবে কী উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তদন্তকারীদের একাংশের ব্যাখ্যা, তদন্ত শেষ না হলে খুনের কারণ বলা যাবে না। তা ছাড়া, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে এখনও জেরা করা যায়নি।
এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এর পর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় পুলিশ।
এই ঘটনায় ভারতের সিআইডি তদন্তভার নেওয়ার পরে ২২ মে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে। পরে আটক করা হয় সিয়ামকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পুলিশ আমানুল্লা ওরফে শিমূল ভূঁইয়া, শেলাস্তি রহমান, ফয়জুল এবং মুস্তাফিজুরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার মূল চক্রান্তকারী ও সাবেক এমপি আনারের বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন পলাতক। তাকে আমেরিকা থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছে সিআইডি।
জিহাদ এবং সিয়ামকে গ্রেপ্তার করার পরে সিআইডি জানিয়েছিল, খুনের পর আনারের দেহের মাংস এবং হাড় পৃথক করে অভিযুক্তরা। এর মধ্যে মাংসকে ছোট ছোট খন্ড করে কমোডের মাধ্যমে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়। হাড় ফেলা হয়েছিল ভাঙড়ের কাছে বাগজোলা খালে। সে সব উদ্ধার করলেও তা আদতে আনারের কি না, সে ব্যাপারে ফরেন্সিক রিপোর্ট আসেনি।