শুরুর মন্থর গতির ব্যাটিং ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। বৃষ্টি এসে হিসাবটা কঠিন করে দিলো। কিন্তু সব উড়িয়ে শেষ হাসি হাসলো বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। রান তাড়া করতে নেমে ২৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নাজমুল হোসেনের দল। এই ম্যাচে জয়ের নায়ক অভিষিক্ত তানজীদ হাসান তামিম। অভিষেকেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। ১৭ বছর আগে জুনায়েদ সিদ্দিকীর করা অভিষেক ফিফটির পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়লেন তানজীদ। ৪৭ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তানজীদ ভালো করলেও সুবিধা করতে পারেননি সঙ্গী লিটন দাস। ফিরেছেন ১ রানে। এরপর তানজীদের সঙ্গী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে যখন স্বাচ্ছন্দ্যে এগোনোর বার্তা দিচ্ছিলেন তখনই আসে বৃষ্টি। তৃতীয় ওভার শেষে বৃষ্টির বাধার পর আবার খেলা শুরু হয়। মাঠে ফিরেই শান্ত আউট হন ছক্কা মারতে গিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২১ রান।
এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে তানজীদ নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে। দুজনে আর কোনো উইকেট দেননি জিম্বাবুয়ে বোলারদের। ৩৬ বলে ৬৯ রান আসে এই জুটি থেকে। তাওহীদ ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে টপাটপ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের শুরুতে ক্রেইগ আরভিনকে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করে মাহেদী হাসান এনে দেন প্রথম সাফল্য। এরপর একে একে ফেরেন গাম্বি, বেনেট। দলীয় ৩৬ রান থেকে ৩৮ রানের মধ্যে দলটি হারায় পাঁচ-পাঁচটি উইকেট।
হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তাসকিন। শূন্যরানে পরপর ফেরান শেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। সাইফউদ্দিনের শিকার হন লুক জংওয়ের ফেরার পর প্রতিরোধ গড়েন মাদান্তে-মাসাকাদজা। অষ্টম উইকেটে মাদান্তে-মাসাকাদজার ৭৫ রানের জুটিতে এই রান করতে পারে সফরকারী দলটি।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে মাদান্তের ব্যাট থেকে। ৩৯ বলে ৬টি চারের মারে এই রান করেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন। তার ইনিংসে দুটি করে ছয়-চারের মার রয়েছে। এ ছাড়া বিশের বেশি কোনো ব্যাটার রান করতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন। দুজনেই কিপটে বোলিং করেন। তাসকিন ১৪ ও সাইফউদ্দিন ১৫ রান দেন। মাহেদী হাসান নেন ২ উইকেট। উইকেটশূন্য ছিলেন শরীফুল-রিশাদ হোসেন।