রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় উপস্থিত আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
ভিড় ঠেলে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে সেখান থেকে আদালতের দ্বিতীয় তলায় এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়। আসামিদের এজলাসে ওঠানোর পর দেখা যায়, দীপু মনির হাতকড়া নেই। তখন তাকে হাতকড়া পরাতে হট্টগোল শুরু করেন আইনজীবীরা। তবে ‘নারী বিবেচনায়’ দীপু মনিকে হাতকড়া পরানো হয়নি।
রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে দীপু মনি আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আইনজীবীরা তার ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন। এতে আরও ভেঙে পড়েন সাবেক প্রভাবশালী এই মন্ত্রী। পুরোটা সময় তাকে ঘিরে রাখে পুলিশ।
এর আগে, সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে ডা. দীপু মনিকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এ মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল-সমাবেশ করে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানি আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।