ঢাকা | বঙ্গাব্দ

প্রকাশ্যে আরজি করের ধর্ষকের সিসিটিভি ফুটেজ

মরদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হয় হেডফোনের ছেঁড়া অংশ। সেই সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের ব্যারাক থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
  • | ২৫ আগস্ট, ২০২৪
প্রকাশ্যে আরজি করের ধর্ষকের সিসিটিভি ফুটেজ ভিডিও ফুটেজে অভিযুক্ত ধর্ষক

গায়ে টিশার্ট এবং জিন্স। হাতে হেলমেট। গলায় হেডফোন। নির্লিপ্ত মুখে আরজি কর হাসপাতালের করিডরে প্রবেশ করছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলানটিয়ার। বিশেষ সূত্রের মারফত প্রকাশ্যে এসেছে সেই ফুটেজ। ফুটেজে উল্লেখ করা তারিখ এবং সময় বলছে, সেই ফুটেজ ৯ আগস্ট ভোর ৪টা ৩ মিনিটের। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার নারী চিকিৎসকের মবদেহ।

সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। মনে করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতির ‘প্রমাণ’ দিচ্ছে এই ফুটেজ।পুলিশ বলছে, নির্যাতিতার মরদেহের কাছ থেকে উদ্ধার করে সংগ্রহ করা হয় হেডফোনের ছেঁড়া অংশ। সেই সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফুটেজে অভিযুক্তের গলায় যে হেডফোন ঝুলছে, তারই ছেঁড়া অংশ পাওয়া যায় ঘটনাস্থলে।

সিবিআই সূত্রে জানা যায়, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮ আগস্ট রাতে একাধিকবার অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ঢোকেন এবং বেরিয়েছেন। তার মধ্যে রাত ৮টায় বেরিয়ে তিনি যান চেতলার এক যৌনপল্লিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, অতীতেও নারীদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করার ‘রেকর্ড’ রয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের। এক নারী পুলিশকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলেন তিনি।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয়েছে তাকে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তার পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিবিআই। সেই নিয়ে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) অনুমতি মিলেছে।

সিবিআই মনে করছে, ঘটনার পর হাসপাতাল এবং সেমিনার রুমে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন বয়ানের মাধ্যমে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন অভিযুক্ত। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই তার পলিগ্রাফ করাতে চাইছে সিবিআই। হেফাজতে থাকাকালীন বার বার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে প্রবেশের কারণ, সময় নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন অভিযুক্ত। সেমিনার হলে প্রবেশের কারণ নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।

যদিও সিবিআইয়ের হাতে ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। তাতে অভিযুক্তকে চারতলায় আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক তথ্য উদ্ধার করতেই পলিগ্রাফ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।