ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতার গাড়িতে গুলি!

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, রবি সিংহ নামে আমাদের দলের এক কর্মী আহত হয়েছেন।
  • | ২৮ আগস্ট, ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতার গাড়িতে গুলি! বিজেপি নেতা অর্জুন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজ্য সচিবালয় নবান্ন ঘেরাওয়ে পুলিশের বাধার প্রতিবাদে বিরোধী দল বিজেপি বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ পালনের ডাক দেয়। বিজেপির ডাকা বাংলা বন্‌ধের সকালে বিজেপিরই দুই নেতার গাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা অর্জুনের অভিযোগ, দুই বিজেপি নেতার গাড়িতে অন্তত ছয় রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। তাতে আহত হয়েছেন তিন জন।

আহতদের মধ্যে দুই বিজেপি নেতা ছাড়া একজন গাড়ির চালকও রয়েছেন। অর্জুন বলেছেন, চালকের কপাল ঘেঁষে বেরিয়েছে গুলি। এখনও রক্ত লেগে আছে গাড়িতে। ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও এনেছেন অর্জুন। আহতদের প্রথমে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের সাবেক এমপি তথা বিজেপি নেতা অর্জুন।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, রবি সিংহ নামে আমাদের দলের এক কর্মী আহত হয়েছেন। আর এক নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডেও আহত হয়েছেন। তারা আমার বাড়ি আসছিলেন। ঘোষপাড়া মোড়ের কাছে সেই গাড়ি আটকানো হয়। তার পর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূনের কর্মীরা। অর্জুনের অভিযোগ গুলিচালানোর পাশাপাশি বোমাবাজিও হয়েছে ওই দুই বিজেপি নেতার গাড়ির সামনে। অর্জুন আরো বলেন, ছয় রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। সাত-আটটা বোমা পড়েছে। দেখুন গিয়ে কত রক্ত ঝড়ছে রবি সিংহের।কিন্তু পুলিশ তা সত্ত্বেও কিছু করেনি বলে অভিযোগ ব্যারাকপুরের সাবেক এমপির।

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন ঘেরাও করে ছাত্র সমাজ। সেই অভিযানে সরাসরি না যুক্ত থাকলেও বাইরে থেকে পূর্ণ সমর্থন জানায় বিজেপি। মিছিলে আন্দোলনকারীদের ব্যারিকেড ভাঙতে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে দেখা যায়। আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

কয়েক জায়গায় লাঠিচার্জও করা হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের সেই ‘অত্যাচার’-এর প্রতিবাদেই বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দেয় বিজেপি। পাল্টা নবান্ন জানিয়ে দেয়, বন্‌ধ বেআইনি। বাংলার মানুষকে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে হবে। এই পরিস্থিতিেই বুধবার সকাল থেকে বন্‌ধ সফল করতে পথে নামে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষের খবরও আসে। এর মধ্যেই ভাটপড়ায় দুই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুবৃত্তরা। অর্জুনের অভিযোগ, তারা তৃণমূলের কর্মী।