জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন ‘শানশান’ আঘাত হানছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টয়োটাসহ বড় বড় কোম্পানির কারখানাগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, টাইফুন ‘শানশান’ ঘণ্টায় ১৫৭ মাইল বেগে ঝড়ো হাওয়া নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রধান দ্বীপ কিউশুর দিকে ধেয়ে আসছে। এ কারণে বিমান সংস্থা ও রেল অপারেটররা কিছু পরিষেবা আগামী কয়েক দিনের জন্য বাতিল করেছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা এক জরুরি সতর্কতা বার্তায় জানিয়েছে, টাইফুন 'শানশান' বন্যা, ভূমিধস এবং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করতে পারে। এটি বেশ কিছু বাড়িঘরও ধ্বংস করতে পারে।
সংস্থার প্রধান আবহাওয়াবিদ সাতোশি সুগিমোটো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, টাইফুনের বেগ এবং জোয়ারের উচ্চতা অতীতে কখনো দেখা যায়নি, তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন। কিউশু দ্বীপে টাইফুন আঘাত করার পর এটি রাজধানী টোকিওসহ কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব এলাকায় পৌঁছাতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে।
কাগোশিমা প্রিফেকচারের দক্ষিণ কিউশু, মধ্য জাপানের আইচি ও শিজুওকা প্রিফেকচারের ৮ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনএইচকে পাবলিক ব্রডকাস্টারের তথ্যমতে, আইচি প্রিফেকচারে ভারী বৃষ্টির সময় ভূমিধসে একটি বাড়ি ধসে পড়েছে, যেখানে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। টয়োটার সদর দপ্তর কিউশুতে অবস্থিত।
টয়োটা বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জাপানের ১৪টি কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখবে। নিসান বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কিউশু কারখানার কার্যক্রম স্থগিত রাখবে এবং হোন্ডা তাদের কুমামোতো কারখানাটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে। টাইফুন 'শানশান' জাপানে আঘাত হানা বড় একটি ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহে টাইফুন 'অ্যাম্পিল' আঘাত হেনেছিল, যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
এএনএ হোল্ডিংস জানিয়েছে, তারা বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানে ২১০টিরও বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করবে, এতে প্রায় ১৮,৪০০ যাত্রী প্রভাবিত হবেন। জাপান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৭০টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করবে এবং উভয় এয়ারলাইনস মিলে ১০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও স্থগিত করা হবে।