ঢাকা | বঙ্গাব্দ

প্রয়োজন মুসলিম সামরিক জোট: এরদোগান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসনের সম্প্রসারণবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর জোট গঠন করা উচিত।
  • | ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
প্রয়োজন মুসলিম সামরিক জোট: এরদোগান গাজায় আহত ৯৮ হাজারের বেশির ভাগই নারী।

ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনিদের বাাঁচাতে হলে এই মুহুর্তে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন একটি মুসলিম সামরিক জোট। পশ্চিমারা যেভাবে একজোট হয়ে ইসরায়েলের 'গণহত্যায়' সহযোগিতা করছে, তা থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে প্রয়োজন পাল্টা সামরিক জোট। তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কোকেলিতে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। খবর ডেইলি সাবাহর।  

ইসরায়েলের আগ্রাসনের স্পষ্টবাদী সমালোচক হিসেবে পরিচিত এরদোগান গাজা এবং তার বাইরের ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার প্রচেষ্টাকে বন্ধ করতে আবারও ইসলামী বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই সংঘাত গাজা উপত্যকা এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি অঞ্চলে প্রায় ৪১ হাজার মানুষ নিহত এবং ৯৮ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী।

এরদোগান বলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসনের সম্প্রসারণবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর জোট গঠন করা উচিত। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অহংকার, ইসরায়েলি দস্যুতা এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করার একমাত্র পদক্ষেপ হল ইসলামী দেশগুলির জোট।

আঙ্কারায় মিশরীয় রাষ্ট্রপতি আবদেল-ফাত্তাহ এল-সিসিকে আমন্ত্রণ জানানোর কয়েকদিন পর এরদোগান এ মন্তব্য করলেন। এটি ছিল এক যুগ পর মিশরীয় কোন নেতার প্রথম তুরস্ক সফর। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর আগে ইঙ্গিত দেন, তিনি তার পুরনো বন্ধু আসাদকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন, কারণ ২০১১ সালে সংঘাতের কারণে দামেস্ক এবং আঙ্কারার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে।

গাজায় চলমান গণহত্যায় এরদোগান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ১৯১৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য প্রত্যাহার করার পর থেকে ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলি দখল করে চলছে। এরদোগান বলেন, এটি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধ নয়, বরং এটি সম্প্রসারণবাদী ইহুদিবাদ এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মাতৃভূমি রক্ষার লড়াই।

মুসলিম দেশগুলো ইসরায়েলের বর্বরতায় চোখ বুজে আছে, তারা মনে করে এটি দূরবর্তী স্থানে ঘটছে এবং তা তাদের প্রভাবিত করবে না। কিন্তু তাদের জানা উচিত, ইসরায়েল গাজায় থামবে না এবং তাদের দৃষ্টি অন্য জায়গায় গিয়ে পড়বে। এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলি পরবর্তী টার্গেট হবে ইসরায়েলের। গাজার পরই ইসরায়েল লেবানন ও সিরিয়াকে টার্গেট করবে। তারা টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিসের মধ্যবর্তী ভূমিকে তাদের পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করবে।