ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা: প্রবাসী ভারতীয়দের বিক্ষোভ

নৃশংস এই ঘটনার বিচারের দাবিতে রোববার বিশ্বের ২৫টি দেশের ১৩০টিরও বেশি শহরে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার প্রবাসী ভারতীয়।
  • | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা: প্রবাসী ভারতীয়দের বিক্ষোভ বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি শহরে বিক্ষোভ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। সংগঠকরা জানিয়েছেন, নৃশংস এই ঘটনার বিচারের দাবিতে রোববার বিশ্বের ২৫টি দেশের ১৩০টিরও বেশি শহরে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার প্রবাসী ভারতীয়। খবর রয়টার্সের।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার আগে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান এবং সিঙ্গাপুরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ৬০টি শহরেও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচার চেয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন প্রতিবাদ করছে। ভারতজুড়ে চলমান সেই বিক্ষোভের সঙ্গেই রোববার বিভিন্ন দেশ থেকে বিক্ষোভে যোগ দেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর সমুদ্র তীরবর্তী বেশ কয়েকটি শহরে শত শত ভারতীয় বিক্ষোভ করে। সান ফ্রান্সিসকো থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার পূর্বে ক্যালিফোর্নিয়ার ডাবলিনে বিক্ষোভকারীরা ন্যায়বিচার চেয়ে স্লোগান দেয়। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে বিক্ষোভে অংশ নেন শত শত নারী-পুরুষ। বিক্ষোভে যোগ দেওয়া একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা নারীর নিরাপত্তা চাই। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিক্ষোভে কালো পোশাক পরিহিত নারীরা সার্গেলস থোই স্কোয়ারে জড়ো হন। তারা বাংলায় গান গেয়ে এবং প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের জন্য নিরাপত্তার দাবি জানান।

পশ্চিমবঙ্গের এ ঘটনায় রাজ্যের গণমাধ্যম জানায়, রোববার রাতে কলকাতাসহ রাজ্যের নানা প্রান্তে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন। কেউ রাস্তা আটকে বিক্ষোভ-মিছিল করছেন, কেউ আবার কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার চেয়েছেন। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে রোববার ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জানানো হয়।