ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রভাব বিস্তার করে বিএনপির ওই নেতা গাছগুলো কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
  • | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ কাটা গাছ
 নেত্রকোনায় অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা রফিক হিলালীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বের) সকালে কেন্দুয়া পৌরসভার কেন্দুয়া-মদন সড়কের পাশে বিএনপি নেতা হিলালীর বাড়ির সামনে থাকা ওই তিনটি সরকারি গাছ অবৈধভাবে কেটে নেওয়া হয়েছে। এদিন বিকেলে একটি গাছ কাটার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রভাব বিস্তার করে বিএনপির ওই নেতা গাছগুলো কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

গাছ কাটার ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিএনপি নেতা রফিক ইসলাম হিলালীর বাসার সামনে সড়কে থাকা বড় বড় তিনটি রেইনট্রি গাছ কাটা হচ্ছে এবং কাটা গাছের অংশবিশেষ স্থানীয় লোকজন নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন গাছ কাটার ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গেলে বাধা দেন বিএনপি নেতা রফিক ইসলাম হিলালীর লোকজন।

মঙ্গলবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম হিলালীর বাসার সামনে থাকা রেইট্রি গাছগুলো নেই। গাছগুলো কেটে গাছের গোড়াগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পরে কাটা গাছগুলো গিয়ে পাওয়া যায় কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে।

জেলা বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে,  ১৯৯১ সালে জেলা বনবিভাগের উদ্যোগে কেন্দুয়া পৌরসভার কেন্দুয়া-মদন সড়কে গাছগুলো লাগানো হয়। সড়কের গাছ কাটতে হলে দাম নির্ণয় করে টেন্ডার দিয়ে নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাটতে হয়।

নাম প্রকাশ না করে এলাকার কয়েকজন জানায়, কোনো টেন্ডার ছাড়াই প্রশাসনের ওপর অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি নেতা রফিক হিলালী গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। সরকারি গাছ এভাবে কেটে নেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু প্রভাব কাটিয়ে কাউকে না জানিয়ে তিনি গাছগুলো কেটে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি বাড়ির সামনের ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটতে। আমার ভাই আমিন হেলালী’র আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন গাছগুলো কেটেছে বলে শুনেছি।  

জেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মস্তুফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পরে জানাবো বিষয়টি।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ২৯ আগস্ট আমিন হেলালী নামের এক ব্যক্তি তিনটি গাছ কাটার আবেদন করেন। পরে গত সোমবার গাছগুলো কাটা হয়। নির্বাহী ক্ষমতা বলে যেকোনো সময় যে কোনও সরকারি গাছ ইউএনও কাটতে পারেন। পরে গাছগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করলেই হয়। গাছগুলো আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুমতি চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির উত্তর পেলে কাটা গাছগুলো নিলাম ডাকের ব্যবস্থা করা হবে।