ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অর্থনৈতিক আলোচনায় উচ্চ-পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল আসছে

বৈঠকে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
  • | ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
অর্থনৈতিক আলোচনায় উচ্চ-পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল আসছে বৈঠক হবে ড. ইউনূস এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিগত সরকারের সময় বিপুল অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে চায় এবং এই বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের ৫ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আগামী ১৪-১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবে। এই বৈঠকটি নতুন সরকারের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক আলোচনা হবে।

মার্কিন প্রতিনিধি দলে ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ অফিসের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। ড. ইউনূস এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী যে, বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করে তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও উন্নতি নিশ্চিত করতে পারবে। আমরা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করতে সমর্থন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারকে গভীরতর করতে ও অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব ও দুর্নীতি হ্রাস করতে সাহায্য করতে চায়।’

বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের বিনিয়োগকারীরা আগস্ট মাসে জানান, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশে ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গার্মেন্টস শিল্পে সংস্কার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়নকে অপরাধী মুক্তকরণের বিষয়ে। ড. ইউনূসও পোশাক উৎপাদনকারীদের জন্য শ্রম নীতিমালা সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন, যা তাদের আরও ক্রয়াদেশ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াবে।