প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রাজা কাজী সালাউদ্দিন। দেশের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার হয়ে সংগঠক হিসাবে বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন বারবার। ফুটবল ফেডারেশনে এত অনিয়মের পরও আবার নির্বাচন করবেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হন। টানা চারবার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হয়েছেন তিনি।
আগামী ২৬ অক্টোবর ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা অনুমতি দিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কিছু দিন আগেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে জানা যায়, আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচন করবেন না কাজী সালাউদ্দিন।
আজ বিকেলে আকস্মিক এক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন চারবারের নির্বাচিত বাফুফে সভাপতি। সেখানেই অংশগ্রহণ না করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘২৬ অক্টোবর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত আপনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলাম।’
২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হলে কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সভাপতি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ না করলেই হতো। এত আগে ঘোষণা দেওয়ার কারণ অবশ্য খানিকটা ব্যাখ্যা করেছেন সালাউদ্দিন, ‘কোনো কনফিউশন যাতে না হয় এজন্য (আগেভাগে) ঘোষণা।’
সম্প্রতি সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি করা হয় আল্ট্রাস নামে বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকদের একটি সংগঠন থেকে। তবে হুমকির মুখে পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছিলেন, ‘প্রথমত, বাংলাদেশ ফুটবল আল্টার্সের কী ভূমিকা ফুটবলে? ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। নির্বাচন করতে পারব কি না তারা বলার কে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে হুমকি দেওয়ার?’
সে সময় আসন্ন নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘পদত্যাগ করছি না। আবারও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কোন হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না।’ এদিকে বাফুফেতে সালাউদ্দিন না থাকলেও কাজ চলছে। সেক্রেটারি রয়েছে। তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে জাতীয় দল ভুটানে সফলতা নিয়ে এসেছে। যুব দল আবার শিরোপা জিতে এসেছে।