ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনায় চৌদ্দটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসময় অধিকাংশ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও ১৩টি ট্রলারসহ ২৮ জন মাঝি মাল্লা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে মৎস্য অফিস।নিখোঁজ হওয়া ২৮ জেলে সবাই উপজেলার জাহাজমারা আমতলী ঘাট এলাকার।
আমতলী ঘাটের কামরু মাঝির বোটের কামরু মাঝি ও তার ভাই আজমির সহ রাশেদ মাঝি, শরীফ, বেলাল এবং শরীফসহ মোট ১৫ জন জেলে নিখোঁজ। একই ঘাটের রহিম মাঝির বোটের রহিম মাঝি ও তিন সহোদরসহ (হকসাব, রুবেল ও এরশাদ) ১৩ জেলে এখনও নিখোঁজ।
আমতলী ঘাটের নাসির মাঝি ও এনায়েতের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এই ঘাটের তিনটি ট্রলার শুক্রবার সন্ধ্যায় দমারচরের দক্ষিণে মাছ ধরা অবস্থায় হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। পরে কাছাকাছি থাকা আরেকটা বোটে ২৬ জন জেলে উদ্ধার হলেও অন্যরা স্রোতের টানে হারিয়ে যায়।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বাংলাবাজার ঘাটের ডুবে যাওয়া ট্রলার একটি পাওয়া গেলেও নিখোঁজ জেলেসহ ট্রলারসমূহ এখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন মেরিন-ফিশারিজ কর্মকর্তা আশারুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝড়ো হাওয়ার ফলে হাতিয়ার আমতলী, নিঝুম দ্বীপ, বুড়িরদোনা, দানারদোল ও বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মৎস্য ঘাটের দূরবর্তী মেঘনা নদীর কয়েকটি স্থানে ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে হাতিয়া থানার তদন্ত ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নৌ-পুলিশ উদ্ধার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তবে নদী উত্তাল থাকায় কার্যক্রম আগানো যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফলে সকল নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, নিম্নচাপ ও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টির কারণে এতদঅঞ্চলে আরও দমকা ও ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে।