ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভারতীয় পেঁয়াজের শুল্কহার কমলেও প্রভাব পড়েনি বাজারে

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নূন্যতম বিক্রয়মূল্য প্রত্যাহার ও শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও বাজারে এখনও আসেনি নতুন পেঁয়াজ।
  • | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ভারতীয় পেঁয়াজের শুল্কহার কমলেও প্রভাব পড়েনি বাজারে বাজারে এখনও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নূন্যতম বিক্রয়মূল্য প্রত্যাহার ও শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও বাজারে এখনও আসেনি নতুন পেঁয়াজ। ফলে আগের বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশের বাজারে।


অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর বেঁধে দেয়া ন্যূনতম শুল্ক প্রত্যাহার করেছে ভারত। এ সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধের শর্ত আর থাকলো না। একই সঙ্গে কমানো হয়েছে রপ্তানি-শুল্কও। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা।

 

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পেঁয়াজের ন্যূনতম এ মূল্য দ্রুত কার্যকর করা হবে। এ মূল্য নির্ধারণের ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশসহ যেসব দেশ পেঁয়াজ আমদানি করে, তারা অনেকটাই সুবিধা পাবে। ৪০ শতাংশ রপ্তানি-শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে দেশটি। প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে এতদিন সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল, সেটিও দেশটির সরকার প্রত্যাহার করেছে।

 

তবে ভারতের এ শুল্ক প্রত্যাহারের কোনো প্রভাবই পড়েনি দেশের বাজারে। ক্রেতারা বলছেন, ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে, তখন ঘোষণা আসতে না আসতেই দেশের বাজারে দাম বেড়ে যায়। অথচ রপ্তানি করলে দাম কমে না সহজে।

 

বাজারে বর্তমানে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ ১০২-১০৮ টাকা, ভারতীয় ১০৪-১০৬ টাকা ও পাকিস্তানি জাতের বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯২ টাকা কেজিতে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে আরও ৫-১০ টাকা বেশি।

 

বিক্রেতারা বলছেন, শুল্কহার কমায় ও মূল্যহার ছাড়ে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমবে। এতে কমতে পারে দেশি ও অন্যান্য বিদেশি জাতের পেঁয়াজের দামও। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে এখনও দেরি আছে; অন্তত এক থেকে দুসপ্তাহ সময় লাগবে। তখন দাম কমতে পারে।