ঢাকা | বঙ্গাব্দ

প্রতি ৫ মিনিটে একজন মারা যাচ্ছে সাপের কামড়ে

এক বিশেষজ্ঞ জানান, বিষাক্ত সাপ শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ নয়, এদের দেখা মেলে পৃথিবীর শীতল অঞ্চলগুলোতেও।
  • | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
প্রতি ৫ মিনিটে একজন মারা যাচ্ছে সাপের কামড়ে বিষাক্ত সাপ

প্রতিদিনই বিশ্বের কোথাও না কোথাও প্রতি ৫ মিনিটে সাপের কামড়ে একজন করে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে, প্রতি ৪ থেকে ৬ মিনিটে সাপের বিষে একজন করে মানুষ মারা যান। এর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিষয় হলো, এদের এক-তৃতীয়াংশই ২০ বছরের কম বয়সী তরুণ-তরুণী। খবর আনাদোলুর।

ডেভিড উইলিয়ামস নামে এক বিশেষজ্ঞ জানান, বিষাক্ত সাপ শুধু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ নয়, এদের দেখা মেলে পৃথিবীর শীতল অঞ্চলগুলোতেও। সাপের কামড়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার মতো অঞ্চলে।

সাপের কামড়ে প্রতি বছর ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যেটি নিঃশব্দে ঘটে যাওয়া এক ভয়ংকর বিপর্যয়। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনটিতে ভারতের কথা আলাদাভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা গেছেন। প্রতি বছর গড়ে ৫৮ হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র সাপের কামড়ে।

তবে, সব সাপের কামড়ই মানুষ মারা যায় না। উইলিয়ামস বলেন, অনেক সময় সাপের কামড়ে মারা না গেলেও অসংখ্য মানুষ দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, কেউ হাত-পা হারাচ্ছেন এবং অনেকে আজীবন শারীরিক যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। এই সমস্যা মোকাবিলায় অ্যান্টি-ভেনম সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলেও, দুর্ভাগ্যবশত, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতেই এর সংকট প্রকট। আফ্রিকার সাব-সাহারার মতো এলাকায় বার্ষিক প্রয়োজনের মাত্র ৩ শতাংশ অ্যান্টি-ভেনম পাওয়া যায়, যা এ সমস্যা মোকাবিলায় এক বড় চ্যালেঞ্জ।

উইলিয়ামস আরো সতর্ক করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিষাক্ত সাপের বিস্তার এবং আবাসিক এলাকায় এদের বিচরণ আরো বাড়বে। নতুন নতুন অঞ্চলে সাপের দেখা মিলবে, যেখানে মানুষ আগে কখনো এ ধরনের বিপদের মুখোমুখি হয়নি। এই সংকটকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সবার জন্য সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এখন জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।