চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচেও জিতেছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ম্যাচের মতো এতো সহজে আসেনি সেই জয়। অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯তম ওভার পর্যন্ত।
আজ রোববার (৫ মে) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রাইন বেনেটের ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় নেমে ওপেনিংয়ে লিটন দাস-তানজীদ হাসান তামিমের জুটি থেকে আসে ৩৫ বলে ৪১ রান। ১৯ বলে তানজীদ ১৮ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। তানজীদের ইনিংসটি ছিল ধীরগতির।
ওপেনিং জুটির ভাঙনের পর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যটিং ছিল দৃষ্টিকটু। জুটি থেকে আসে ২২ বলে ২০ রান। বাইরের বল টেনে নিয়ে ছয় মারতে গিয়ে ১৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন শান্ত। তার তিন বলের ব্যবধানে ফেরেন লিটন।
লিটন একবার আম্পায়ার্স কলে আরেকবার লুক জংওয়ের ক্যাচ মিসে দুই জীবন পান। কিন্তু ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ২৫ বলে ২৩ রান করেন এই ব্যাটার।
লিটনের বিদায়ের পর তাওহীদ-জাকের আলী খেলতে থাকেন দারুণ। ২৩ বলে ৩১ রান আসে জুটি থেকে। ১২ বলে ১৩ রানে জাকেরের আউটে ভাঙে জুটি। এরপর মাহমুদউল্লাহ-তাওহীদ দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চাপহীন এমন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ অস্বস্তির।
এর আগে প্রথম ১০ ওভারে চাপে ছিল জিম্বাবুয়ে। টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকা দলটি এরপরই যে ফেরে টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ক্যাম্পবেল ও বেনেটের ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটিতে জমে যায় ম্যাচ। ২৯ বলে ৪৪ রান করে বেনেট অপরাজিত থাকেন। ৩টি ছয় ও ২টি চারের মারে ইনিংসটি সাজানো ছিল তার। ক্যাম্পবেল করেন ২৪ বলে ৪৫ রান।৩টি ছয় আর ৪টি চারের মারে সাজানাও ছিল ইনিংস।
বেনেট-ক্যাম্পবেল ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পেরেছেন মাত্র দুজন। ওপেনার জয়র্লড গাম্বি ১৭ রান করেন ৩০ বলে। আরভিন ১৬ বলে করেন ১৩। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি। শূন্য রানে ফেরেন মান্দান্ডে।