ঢাকা | বঙ্গাব্দ

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ

প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে।
  • | ০৩ অক্টোবর, ২০২৪
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনে সামনে থেকে বড় ভূমিকা রাখেন নাহিদ ইসলাম। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পতন হয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েছেন নাহিদ।

এবার টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ‘টাইম-১০০’ তে নাহিদ ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রতি বছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে।

টাইম ম্যাগাজিন নাহিদ সম্পর্কে লিখেছে, ‘আন্দোলনের অনেক নেতার মধ্যে নাহিদ অন্যতম। বাংলাদেশের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে জনমানুষের কাছে তার পরিচিতি আরও বাড়তে থাকে।’

নাহিদই ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে লাখো জনতার সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।

টাইমকে নাহিদ বলেছেন, কেউ ভাবতেও পারেনি তাকে (হাসিনাকে) উৎখাত করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাই করে দেখায় মুক্তিকামী জনতা, দেশব্যাপী তীব্র বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোই এখন সামনে।

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘জেন জি’র দুই উপদেষ্টার একজন নাহিদ। অন্যজন হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। টাইম বলছে, ‘১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে, এখন তাকে মেরামতের চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে নতুন সরকারকে।’ এ বিষয়ে নাহিদের ভাষ্য, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’