ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জঙ্গি হামলায় বুরফিনা ফাসোতে নিহত ৬০০

জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০০ জন। অন্য দিকে জঙ্গিরা বলেছে, ৩০০ জন।
  • | ০৫ অক্টোবর, ২০২৪
জঙ্গি হামলায় বুরফিনা ফাসোতে নিহত ৬০০ জঙ্গি গোষ্ঠি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরফিনা ফাসোতে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় নির্বিচারে গুলি করে প্রায় ৬০০ জনকে হত্যা করেছে আল-কায়দা সমর্থিত জেএনআইএম নামের সন্ত্রাসী সংগঠন। জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন’ বা জেএনআইএমের জঙ্গিরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অন্তত ৬০০ জনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে এতো বড় ‘জঙ্গি’ হামলা আর হয়নি। খবর সিএনএনের।

পশ্চিম আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকায় রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ায় দু’টি সন্ত্রাসী সংগঠন। আল কায়দা ছাড়াও এখানে শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলেছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। স্থানীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হত্যালীলা চালায় তারা। জঙ্গি হামলা থেকে বাঁচতে বারসালোঘোর বাসিন্দারা পরিখা খুঁড়ছিলেন। তখনই বাইকে করে এসে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জেএনআইএমের জঙ্গিরা। তার পর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চলে নির্বিচারে গুলি।

বুরফিনা ফাসোয় হওয়া ভয়ঙ্কর এই জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০০ জন। অন্য দিকে জঙ্গিরা বলেছে, ৩০০ জন ‘যোদ্ধা’র ভবলীলা সাঙ্গ করেছে তারা। মার্কিন সংবাদসংস্থা ‘সিএনএন’-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলায় মোট ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফরাসি সরকারের নিরাপত্তা মূল্যায়ন সংক্রান্ত একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই পরিসংখ্যান দিয়েছে সিএনএন।

জঙ্গি হামলার পর ঘটনাস্থলে গেলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বিবরণ দিয়েছেন বারসালোঘোর এক বাসিন্দা। তার দাবি, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিখা খননের জন্য ১২ জনের এক একটি দল তৈরি করা হয়। তেমনই একটি দলে তিনিও ছিলেন।

সিএনএনকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বেলা ১১টা নাগাদ শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি পরিখার মধ্যে ছিলেন তিনি। তখনই প্রথম গুলির শব্দ শোনা যায়। তিনি বলেন, পালানোর জন্য পরিখার মধ্যে হামাগুড়ি দিতে শুরু করলাম। কিন্তু মনে হচ্ছিল, জঙ্গিরা পরিখায় নেমে আমাকে অনুসরণ করছে। কোন মতে হামাগুড়ি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। পরিখার যে মুখটা দিয়ে বেরিয়েছি, সেখানেই রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। মাটির উপর সর্বত্রই চাপ চাপ রক্ত! সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য।

স্থানীয়দের দাবি, জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকলে পরিখার মধ্যে হুড়োহুড়ি আর চিৎকার শুরু হয়। সেখান থেকে হাতে গোনা কয়েকজন পাশের ঝোপে লুকোতে পেরেছেন। একমাত্র তারাই প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন।