ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জামায়াতের সঙ্গে দ. কোরীয় রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

মঙ্গলবার সকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জামায়াতের কার্যালয় পরিদর্শনে যান তারা।
  • | ০৮ অক্টোবর, ২০২৪
জামায়াতের সঙ্গে দ. কোরীয় রাষ্ট্রদূতের বৈঠক দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ও জামায়াত আমির।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক এবং ডেপুটি চিফ মিশন জিনহি ব্যাক। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জামায়াতের কার্যালয় পরিদর্শনে যান তারা। বৈঠক শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন তারা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারেও আমরা উভয়েই আমাদের অভিমত ব্যক্ত করেছি। সম্প্রতি দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে এবং একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের গণমানুষের যে লড়াই সাড়ে ১৫ বছর ধরে চলে আসছিল সে লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি লগ্নে আমাদের দেশের ছাত্র ও যুবসমাজ কোটাবিরোধী যে আন্দোলন গড়ে তোলেন সে আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকার এক কুৎসিত পথ অনুসরণ করে।

তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে এবং দেশে-প্রবাসে একই সঙ্গে লড়াইয়ের বিনিময়ে এই জাতি সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং বাংলাদেশের জনগণের উন্নতি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে তারা কীভাবে কাজ করতে পারেন বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং রিপাবলিক অব কোরিয়া এক্ষেত্রে তাদের পার্টনারশিপ আরও কীভাবে উন্নত করতে পারে- এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে তাদের সহযোগিতা অত্যন্ত মৌলিক প্রয়োজন। কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের সততা ও দক্ষতা দিয়ে আরও কীভাবে অবদান রাখতে পারেন সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি এবং কোরিয়াতে বাংলাদেশিরা যেন আরও বেশি সংখ্যায় যেতে পারেন সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে, সন্তোষজনক হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাদেরও কিছু কথা ছিল- সেগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং সে জায়গাগুলো আমরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে যে, আমাদের কথায় তারা পুরোপুরি আশস্ত হয়েছেন। তারা বাংলাদেশের সমাজ ও সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।