কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে প্রাথমিকভাবে খরচ হয়েছে মাত্র ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ স্টেশনের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপনে কাজীপাড়ার চেয়ে বেশি খরচ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রো ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রউফ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন চালুর জন্য চূড়ান্ত পরীক্ষা চালানো হয়। এ সময় প্রতিটি প্যারামিটারের সিস্টেম সন্তোষজনক হওয়ায় শিগগিরই চালু হতে পারে মেট্রোরেলের এই স্টেশনটি।
এ বিষয়ে আবদুর রউফ বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় মিরপুর-১০ স্টেশনটি দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। আমরা সফলভাবে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনটি পুনরায় চালু করার জন্য আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপনের চূড়ান্ত পরীক্ষা চালিয়েছি। মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এই স্টেশন দিয়ে দুটি ট্রেন চালানো হয়েছে। প্রথম ট্রেনটি সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে থামে। ট্রেনগুলো চলাচলের সময় একটি কারিগরি দল উপস্থিত থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছে। সবই সন্তোষজনক। প্রতিটি প্যারামিটারের সিস্টেম ঠিক আছে।’
মিরপুর-১০ স্টেশন মেরামতে কাজীপাড়া স্টেশনের চেয়ে বেশি খরচ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘স্টেশনের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপনের খরচ কাজীপাড়া স্টেশনের চেয়ে বেশি হবে, কারণ এটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট সাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সবকিছু ভাঙচুর করা হয়। ফলে কর্তৃপক্ষ ৩৭ দিন ধরে দুটি স্টেশন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ওই দুটি স্টেশন বন্ধ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ কাজীপাড়া স্টেশনটি স্বল্প খরচে মেরামত করে ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায় চালু করে।