সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া কামাল হোসেনের মরদেহ দেশে এসেছে। কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেষতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেষতলা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে। তাকে দাফনের সময় উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
কামাল হোসেনের বাবা নজির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কামাল হোসেনের মরদেহ নিয়ে রওনা দিয়ে শুক্রবার ভোরে বাড়িতে এসে পৌঁছান। পরে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী জানাজা শেষে সকাল ৮টায় গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবররস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
স্থানীয় মুন্সিরহাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, কামাল হোসেনের স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ বছর আগে জীবিকার তাগিদে তিনি আরব আমিরাতে যান। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মরদেহ একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, মাঙ্কিপক্স বিরল ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ, যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ দেশে আনার অনেক আগেই মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। কামাল হোসেনের পরিবারের ৮ সদস্যকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তার উজ-জামান বলেন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কামাল হোসেনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
