ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নিরাপত্তা বাড়ল সালমানের বাড়িতে

সালমানের বাবা সেলিম খানকেও হুমকি দেওয়া হয় কিছু দিন আগে। সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিবাদ অনেক দিনের।
  • | ১৩ অক্টোবর, ২০২৪
নিরাপত্তা বাড়ল সালমানের বাড়িতে বিষ্ণোই, বাবা সিদ্দিকী ও সালমান খান

ভারতের মহারাষ্ট্রের এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকী হত্যার সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে জানায় মুম্বাই  পুলিশ। এবার সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল বিষ্ণোই গ্যাং। রোববার (১৩ অক্টোবর) ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। সেখানে বলিউড সুপাস্টার সালমান খানের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেনে নেওয়া হয়েছে, সিদ্দিকী খুনে তারা জড়িত।

বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ওই সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর সালমানের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সালমান খান, আমরা এই লড়াই চাইনি। কিন্তু আপনার জন্য আমাদের ভাই প্রাণ হারিয়েছে। বাবা সিদ্দিকী এক সময় দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন ভদ্র সেজে ছিলেন। দাউদ এবং অনুজ থাপানের সঙ্গে তার সম্পর্কই তার মৃত্যুর কারণ। কারো সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু সালমান খান বা দাউদের গ্যাংকে যারা সাহায্য করেন, তারা সাবধান! আমাদের কোনো ভাইয়ের গায়ে কেউ হাত দিলে, আমরা শাস্তি দেব। আমরা প্রথমে মারি না। প্রতিশোধ নিই।’

৬৬ বছরের বর্ষীয়ান নেতাকে শনিবার দশেরার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনজন গুলি চালায়। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। হরিয়ানার গুরমেল সিংহ এবং উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপের সঙ্গে তৃতীয় জনকেও চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তার নাম শিব কুমার। তিনিও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। তার খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই তিনজন ছাড়াও আরও এক জন এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। যিনি নেপথ্যে থেকে পরিকল্পনা করেছেন। তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই এখন জেল খাটছেন। কিন্তু তার গ্যাং সক্রিয় বাণিজ্যনগরীতে। কিছু দিন আগে সালমানের বাড়ির সামনে গুলি চালানো হয়। সেই ঘটনাতেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথা জানায় পুলিশ। সালমানের বাবা সেলিম খানকেও হুমকি দেওয়া হয় কিছু দিন আগে। সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিবাদ অনেক দিনের। সিদ্দিকী খুনের সঙ্গে সেই বিবাদের সম্পর্ক রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।