পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতিদের মধ্যে গুলির ঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হওয়ার পরে শনিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে ঠিক কী কারণে গুলি চালানো হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। খবর দ্য ডন ও আল-জাজিরার।
দেশটির কর্মকর্তাদের উদৃতি দিয়ে দ্য ডন বলছে, শনিবার কুররাম জেলায় দুই গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে দুই নারী ও এক শিশুসহ ১৫ জন নিহত ও আরও সাতজন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, মকবাল উপজাতিরা গুলি চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে কাঞ্জ আলিজাই উপজাতির দুজন আহত হন। তারা জানায়, ঘটনার পরপরই সংঘর্ষ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং যাত্রীবাহী যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহনেও হামলা চালানো হয়।
কুররাম জেলা প্রশাসক জাভেদুল্লাহ মাহসুদ বলেছেন, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যানবাহন চলাচলের উদ্দেশ্যে রাস্তা নিরাপদ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় একটি জিরগা বা উপজাতীয় পরিষদের সদস্য পীর হায়দার শাহ বলেছেন, গুলি চালানোর ঘটনার সময় জিরগার প্রবীণ সদস্যরা উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। তিনি বলেন, সংঘাতের এই ঘটনাটি এলাকায় শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছে।
আল জাজিরা বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কয়েকদিনের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। যদিও উভয় গোষ্ঠীই এই দেশে শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করে, তবে তারপরও তাদের মধ্যে কয়েক দশক ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে কিছু এলাকায়, বিশেষ করে কুররামে। এই জেলার কিছু অংশে শিয়া মুসলমানদের আধিপত্য রয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই অঞ্চলে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন।