সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে এবং পাসের হার কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. তপন কুমার সরকার। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কিছুটা প্রভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকবেই জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সেটা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হবে না। কারণ যেখানেই তারা ভর্তি হতে যাক না কেন তাদের এডমিশন টেস্টের মধ্য দিয়ে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। আর এ বিষয়ে লেখাপড়ারও প্রস্তুতি থাকে। ইন্টারন্যাশনালি এই সাবজেক্ট ম্যাপিং বিষয়টি রয়েছে।
তপন কুমার বলেন, বাতিল হওয়া বিষয়গুলোর পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। অভিভাবক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ রইল ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। পরীক্ষাগুলো দেওয়া উচিত। পরীক্ষার মাধ্যমেই ফলাফল আসে। আমরা কতটুকু শিখলাম তার জাস্টিফিকেশন পরীক্ষার মাধ্যমেই হয়। পরীক্ষা নেওয়া আমাদের কর্তব্য। আশা করবো আগামীতে পরীক্ষাগুলো যাতে হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবো। সকলের সহযোগিতা কামনা করবো।
শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যে ২০২৫ সালে পরীক্ষাগুলো নেব, তা সুষ্ঠুভাবে নিতে পারব বলে আশা করছি। কোনো শিক্ষার্থী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেভাবে চেষ্টা করতে হবে। একটা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলাম। এ কারণে এবার পরিস্থিতির শিকার হয়েছি।
শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত সময়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের মানোন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন করতে পারেনি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়। গত বছরও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা দিন দিন বাড়ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নন এমপিওভুক্ত।
তপন কুমার সরকার বলেন, আমাদের বোর্ড, প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবাই এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিল। সার্বিক দিক দিয়ে পর্যালোচনা করে একটা বিকল্প পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। বিষয়ের ওপর অর্ধেক নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়েও প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।