ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের একগুঁয়েমিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আটকে যাচ্ছে

একটি চুক্তির জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে একপক্ষের কোনো চুক্তি করার ইচ্ছা নেই।
  • | ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
ইসরায়েলের একগুঁয়েমিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আটকে যাচ্ছে বিদ্ধস্ত গাজা।

ইসরায়েলি সরকারের একগুঁয়েমি অবস্থান গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। তিনি বলেন, কাতার সংঘাত শুরুর পর থেকেই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। খবর তাসের।

কাতারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, কাতার এই সংঘাতের শুরু থেকে মধ্যস্থতা করে আসছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি করছি। একটি চুক্তির জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে একপক্ষের কোনো চুক্তি করার ইচ্ছা নেই। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, ফলাফল একই থাকে। আপনারা জানেন, এই বাধাগুলোর একটি বড় কারণ ইসরায়েল, বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে।’

শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি জোর দিয়ে বলেন, কাতার ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে তার ‘সুস্পষ্ট, সুসংগত এবং সুপরিচিত’ অবস্থান বজায় রেখেছে। তবে তাদের মধ্যস্থতা সবসময় ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং সদিচ্ছা’ নিয়ে পরিচালিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাতার এই সংঘাতের সমাধানের জন্য তার প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন। দোহায় ১৫-১৬ আগস্ট গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে একটি নতুন দফার আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনার পর মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, আলোচনায় ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন দফার আলোচনায় ওয়াশিংটন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ কমানোর প্রস্তাব উন্মোচন করে। তবে পরে হামাস জানায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগটি শুধু ইসরায়েলের স্বার্থকেই সুরক্ষা দিচ্ছে। এরপর ২৫ আগস্ট মিশরের রাজধানী কায়রোতে আরেক দফা আলোচনা হয়।

হামাসের মুখপাত্র ইজাত আল-রিশেক জানান, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করে। তিনি বলেন, হামাস দাবি করেছে ইসরায়েল ২ জুলাই যে শর্তগুলোতে সম্মত হয় তা পূরণ করতে হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই আলোচনায় এখনো তেমন কোনো বড় পরিবর্তন আসেনি।