ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চলাচলের ৬ মাসেই ধসে পড়ল সেতুর পাটাতন, দায় নেবে কে?

খুলে দেয়ার ৬ মাস না পেরোতেই সেতুর পাটাতনের পলেস্তারার ঢালাই খসে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের।
  • | ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
চলাচলের ৬ মাসেই ধসে পড়ল সেতুর পাটাতন, দায় নেবে কে? যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার ৬ মাসের মধ্যেই যশোরের মনিরামপুরের চিনাটলা সেতুটির পাটাতন ধসে পড়েছে।

যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার ৬ মাসের মধ্যেই যশোরের মনিরামপুরের চিনাটলা সেতুটির পাটাতন ধসে পড়েছে। এতে সেতু পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা।


স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।


তবে এলজিইডি বলছে, দুর্বল কংক্রিটের কারণে ঠিকাদারদের সিকিউরিটি টাকা আটকে দেয়ার পাশাপাশি পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


জানা যায়, খুলে দেয়ার ৬ মাস না পেরোতেই সেতুর পাটাতনের পলেস্তারার ঢালাই খসে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। একপর্যায়ে ভাঙতে ভাঙতে রড বেড়িয়ে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


২০২১ সালের এপ্রিলে যশোর মণিরামপুরের চিনাটোলা বাজার থেকে মনোহরপুর বাজার সড়কের হরিহর নদের ওপর ৪২ মিটার দৈর্ঘের চিনাটোলা সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক বছরেরও বেশি সময় পর কাজ শেষ করে ঠিকাদার। পরে চলতি বছরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় সেতুটি।


স্থানীয়দের অভিযোগ, বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লোপাট হওয়ায় সেতুর পাটাতনের পলেস্তারা ধসে পড়ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। নতুন করে সংস্কারের চেষ্টা করা হলেও কাজ নিয়ে সন্দিহান তারা।


স্থানীয় জুয়েল বলেন, সেতুটি নিম্নমানের মালামাল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, এর কারণে ব্রিজটির পলেস্তারা খসে খসে পড়ে যাচ্ছে। ব্রিজটিতে যানবাহন চলাচলের প্রায় মাস খানের পরই পলেস্তারা খসে পড়া শুরু হয়, আর ছয় মাস পর এই অবস্থা। এখানে ছোট ছোট গাড়িগুলো চলাচলের পরও ব্রিজটি এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’


এ বিষয়ে যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্রিজে যে সিমেন্ট ব্যবহার হয়েছে, সেটার কোয়ালিটি খারাপ, নাকি সিমেন্ট যেখানে তৈরি হচ্ছে সেখানে সমস্যা; এটাই চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। দুর্বল কংক্রিটের কারণে ঠিকাদারদের সিকিউরিটি টাকা আটকে দেয়ার পাশাপাশি পুনঃনির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’


এলজিইডির তথ্যমতে, তিন কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ২১১ টাকায় নির্মিত ওই সেতু দিয়ে দৈনিক ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন।