বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সমর্থনে তার অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষরকারীকে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শনিবার পেনসিলভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে প্রথম পুরস্কার হিসেবে জন ড্রেহার নামের এক ব্যক্তিকে ১ মিলিয়ন ডলারের চেক তুলে দেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা। মাস্ক বলেন, "জন কিছুই জানতো না, এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে, তোমাকে স্বাগতম।"
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় সমর্থন জানাতে মাস্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘আমেরিকা পিএসি’ নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন। তিনি এ উদ্যোগের মাধ্যমে ভোটারদের একত্রিত করা ও নিবন্ধন করতে সহায়তা করছেন। তবে কিছু কিছু স্থানে সংগঠনটি তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সমস্যা মোকাবিলা করছে।
পেনসিলভেনিয়ার সাম্প্রতিক সমাবেশে মাস্ক মার্কিন নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন পরিস্থিতি হিসেবে চিত্রিত করেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের সমর্থকদের আগাম ভোট দিতে ও অন্যদের ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন।
মাস্ক বলেন, যদি কমলা হ্যারিস বিজয়ী হন, তবে "এটি শেষ নির্বাচন" হবে, কারণ তার মতে যুক্তরাষ্ট্র আর টিকে থাকবে না। এছাড়া তিনি দাবি করেন যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা প্রচেষ্টা প্রমাণ করে যে ট্রাম্প প্রচলিত ব্যবস্থাকে ঝাঁকিয়ে দিয়েছেন, যা হ্যারিস করতে পারছেন না।
মাস্ক আরও উল্লেখ করেন, "একজন পুতুলকে হত্যা করার কোনো মূল্য নেই," যা তিনি আগেও তার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন।
ইলন মাস্কের পিটিশনটি সই করলে তা প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনী, অর্থাৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অস্ত্র রাখার অধিকারের সমর্থনে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা বলে বিবেচিত হবে। পিটিশনে সই করা সমর্থকদের যোগাযোগের তথ্য আমেরিকা পিএসি সংগ্রহ করছে, যা পরে তাদের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হবে।
ফোবর্সের মতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ইতোমধ্যে আমেরিকা পিএসিকে কমপক্ষে ৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন, যা ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনী প্রচেষ্টার অন্যতম প্রধান সমর্থক হিসেবে কাজ করছে।