ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর হচ্ছে বিখ্যাত মণিহার সিনেমা হল

মণিহার সংস্কার করে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর হচ্ছে। নাম হচ্ছে ‘মণিহার সিনেপ্লেক্স’।
  • | ২২ অক্টোবর, ২০২৪
সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর হচ্ছে বিখ্যাত মণিহার সিনেমা হল সংগৃহীত

দেশের বিখ্যাত সিনেমা হল হিসেবে সিনেমা প্রেমীদের কাছে একনামে পরিচিত নাম যশোরের মণিহার। হাজারের অধিক আসনের ঐতিহ্যবাহী এ হলটিতে এবার আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে।


জানা গেল, মণিহার সংস্কার করে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর হচ্ছে। নাম হচ্ছে ‘মণিহার সিনেপ্লেক্স’। এর ব্যবস্থাপক ও একাউনটেন্ট তোফাজ্জেল হোসেন জানালেন, ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। তারা নিজ উদ্যোগেই এটি করছেন।


মণিহার সিনেমা হলের ফার্স্ট ফ্লোরে (দ্বিতীয় তলা) তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্সটি। তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শুরুতে ৬৬টি আসন সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর করা হচ্ছে। আগামীতে অন্যান্য ফ্লোরও একইভাবে করা হবে। নভেম্বরে ‘দরদ’ আসছে। তখন থেকে সিনেপ্লেক্স চালু হবে। কিছু সাজসজ্জা, স্ক্রিন বসানো হচ্ছে। উন্নত বসার সিট, এসি ও মনোরম লাইটিংসহ ডলবি সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমের কাজ শেষ হয়েছে।


করোনা পরবর্তী পরাণ, হাওয়া, প্রিয়তমা, রাজকুমার, তুফান ছবিগুলো মাসের পর প্রদর্শন করে হাজারও আসনের মণিহার সিনেমা হল।


সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে ভালো পরিবেশসহ নানা সুবিধার জন্য সিনেপ্লেক্সের দর্শকপ্রিয়তা বেড়েছে। মানুষের ভালো সিনেমা দেখার চাহিদাও রয়েছে। তাই এই মণিহার সিনেপ্লেক্সটিতে বৃহত্তর যশোরের সিনেমাপ্রেমী মানুষদের পরিবারসহ বিনোদনের নতুন জায়গা খুঁজে পেতে পারেন।


যশোরকে বলা হয় দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর। সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু এই যশোরে ১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ৪ বিঘা জমির উপর দৃষ্টিনন্দন সিনেমা হলটি চালু করা হয়। দর্শকের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার যশোরের আরো চারটি সিনেমা হল বন্ধ হলেও টিকে আছে মণিহার।


তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের নতুন প্রচেষ্টা এই উন্নত মানের সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর হওয়া। যা অনেকের সিনেমার দর্শকদের চাহিদা মেটাতে নতুন মাত্রা যোগ করে আমাদের ঘুরে দাঁড়াবে মনে করি।