ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শাবিপ্রবিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
  • | ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
শাবিপ্রবিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা ছবি : সংগৃহীত।

ডোপ টেস্টের মাধ্যমে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হচ্ছেন  ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।


বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 


ভর্তি কমিটির সূত্রে জানা যায়, শাবিপ্রবি এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাচ্ছে। এছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার বি (মানবিক) ও সি (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদিত হবে। 


সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৪০ শিক্ষার্থীর ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কারও ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়নি বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে শাবিপ্রবি ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রেজা সেলিম।


বিজ্ঞান ইউনিটের চূড়ান্ত ভর্তির জন্য মেধাতালিকার ক্রমানুসারে যারা শাবিপ্রবিতে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে ১ হাজার ২৫০ জনকে চূড়ান্ত ভর্তির জন্য ডেকেছে ভর্তি কমিটি। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদানবিষয়ক সংগঠন ‘সঞ্চালন’ ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানে না তাদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দিচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) শাবিপ্রবি প্লাটুনের সদস্যেরা ভর্তি-ইচ্ছুকদের সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছেন।


জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ডোপ টেস্ট চালু করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত কি না, তা দেখা হয়। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের ডোপ টেস্ট কমিটির সদস্য ও সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লা আল সোয়েব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডোপ টেস্টের চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে বেনজুডাইয়াজিপাইন অন্তর্ভুক্ত স্লিপিং পিল, মারিজুয়ানা (গাঁজা), ইয়াবা ও আফিম। স্লিপিং পিলের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী গ্রহণ করা হলে, তা গ্রাহ্য করা হচ্ছে। তবে তা মাত্রাতিরিক্ত হলে শিক্ষার্থীর তথ্যগুলো আমরা কাউন্সিল টিম ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছে দেব। পরে ওই শিক্ষার্থীকে কাউন্সেলিংয়ে রাখবে তারা অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।’