উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছেলের পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে চিঠি দেয়া হয়েছে।,
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিবুর রহমান আসিব খানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করায় তাকে এ চিঠি দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।
সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে রোববার (৫ মে) বিকেলে মাদারীপুরের নতুন শহরের বাসভবনের শাজাহান খানের বাসভবনে এই চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, মাদারীপুর-২ আসনের টানা ৮ বারের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান।
নির্বাচনে এলাকায় থেকে কোন সংসদ সদস্য প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না, কমিশন এমন নীতিমালা থাকলেও তা অমান্য করে ছেলের পক্ষে প্রচারণায় কাজ করেন শাজাহান খান। এনিয়ে শাজাহান খানের চাচাতো ভাই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শাজাহান খান ছেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও বিভিন্ন কর্মসূচি অংশ নেন। গোপনেও ইউনিয়ন পর্যায়ে একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান সংবাদ সম্মেলন করেও সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ১৫টিরও বেশি চিঠি দেয়া হয়েছে কমিশনে। একটিওর কোন ব্যবস্থা নেয়নি রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশনের এমন চুপ থাকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।
এদিকে আসিবুর রহমান আসিব খান বলেন, নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নানামুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শফিক খান। বিভিন্ন মানুষের মাঝে টাকা ছড়াচ্ছে, বহিরাগতদের দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, এর কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেনে গেছে, তিনি বিজয়ী হতে পারবে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে শাজাহান খান বলেন, মাদারীপুরে যখন থাকি, তখন স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথাবার্তা বলি। এর বাইরে অন্যকিছু না। যারা অভিযোগ দিচ্ছে, তারা ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য এ কাজ করছে।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী বলেন, শফিক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই শাজাহান খানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী কোন কার্যক্রমে অংশ না নিতেও বলা হয়েছে।