ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টি মহাসচিব চুন্নুসহ ৮২ জনের নামে মামলা

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় মদদ ও অর্থায়নের অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
  • | ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
জাতীয় পার্টি মহাসচিব চুন্নুসহ ৮২ জনের নামে মামলা জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় মদদ ও অর্থায়নের অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।


গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন।


মামলায় চুন্নু ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সাবেক প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হকসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


শাহাব উদ্দিন জানান, বুধবার রাতে থানায় মামলাটি করেছেন উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর কাইয়ুম। এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট করিমগঞ্জ বাজারের মোরগমহালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির সহযোগী সংগঠনগুলো ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা এ হামলায় জড়িত ছিলেন।


আরও বলা হয়, জাপা মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন, নির্দেশ ও আর্থিক সহযোগিতায় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, শটগান, বন্দুক, ককটেল, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ হামলা চালান। আন্দোলনকারীদের মোটরসাইকেলগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ হামলায় অনেকেই গুরুতর আহত হন। পরে আসামিরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।


উল্লেখ্য, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মুজিবুল হক কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ দুবার তিনি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।


কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জাপার মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের গ্রেপ্তারের দাবিতে এর আগে একাধিকবার ঝাড়ুমিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা শেখ হাসিনার সহযোগী মুজিবুল হক ও সানাউল হককে করিমগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণাও করেন।