লড়াই হলো জমজমাট। তাতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসেও পারলো না জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ রানের জয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
একশর আগে নেই ৮ উইকেট। বাংলাদেশ যখন বড় জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখন পালটা আক্রমণ শুরু করেন ওয়েলিংটন মাসাকদজা-ফারাজ আকরাম। খেলা নিয়ে যান শেষ ওভার পর্যন্ত। ৬ বলে যখন প্রয়োজন তখন সাইফউদ্দিন এসে প্রথম বলে মাসাকাদজাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান। শেষ পর্যন্ত ১১ রানের বেশি নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
নবম উইকেটে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে স্বাগতিক শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেন মাসাকাদজা-ফারাজ। ১৩ রানে মাসাকাদজার আউটে ভাঙে জুটি। ফারাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ৯১ রানে পতন ঘটে ৮ উইকেটের। এরপরই আক্রমণ শুরু করেন দুজনে। মাঝে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন জনাথন ক্যাম্পবেল। ওপেনিংয়ে নেমে ২৬ বলে ৩১ রান করেন মারুমানি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে তিনি ৪২ রান দেন। ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।
এর আগে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন তাওহীদ। ৩৮ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে এই রান করেন তিনি। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান জাকের। ৬০ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর দুজনে পাল্টা আক্রমণ করেন। জুটি থেকে আসে ৫৮ বলে ৮৭ রান।
একই ওভারে দুজন ফেরার পর ইনিংস শেষ করে আসেন মাহমুদউল্লাহ-রিশাদ। মাহমুদউল্লাহ ৪ বলে ৯ ও রিশাদ সমান বলে ৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।