দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে তড়িঘড়ি করে দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র। চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারী (অবৈধভাবে বসবাসকারী) ভারতীয়দের ফেরত পাঠাতে শুরু করলো মার্কিন প্রশাসন। ইতিমধ্যে ২২ অক্টোবর একটি বিমান পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে সহযোগিতা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ঠিক কত জনকে পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, বেআইনি অভিবাসন ও মানব পাচার বন্ধ করার লক্ষ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জুন থেকে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এ জন্য ভারতসহ মোট ১৪৫টি দেশের উদ্দেশে উড়েছে ৪৯৫টি বিমান।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিভাগ এবং সীমান্ত প্রহরীদের নজরে ৯০ হাজার ৪১৫ জন ভারতীয়ের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ধরা পড়েছে বলে দাবি। তার মধ্যে ৪৩ হাজার ৭৬৪ জন কানাডার সীমান্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন আর ২৫ হাজার ৬১৬ জন মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে। হোমল্যান্ড সিকিওরিটি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি এ ক্যানেগালো জানান, বেআইনিভাবে বসবাসকারীদের ধীরে ধীরে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। পাচারকারীরা ভুলভাল বুঝিয়ে অনেককেই দেশে ঢুকিয়ে দেয়। তাই তাদের খপ্পরে পড়া যাবে না। মাথায় রাখতে হবে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মূলত কানাডা এবং মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করেন অনুপ্রবেশকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়েই অনুপ্রবেশ হয় বেশি। প্রতি বছর যত ভারতীয় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করেন, তার সিংহভাগ ঢুকতে চান মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে। কিন্তু এ বছর মেক্সিকোর থেকে কানাডা সীমান্ত দিয়ে বেশি ঢোকার চেষ্টা বেশি হয়েছে বলে মার্কিন সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে এবছর জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে বেআইনি অনুপ্রবেশ প্রায় ৫৫ শতাংশ কমে গেছে।