ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মন্দিরে আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণ, আহত ১৫০

এখানে দোষ মূলত মন্দির কর্তৃপক্ষের। আতশবাজি পোড়ানোর জায়গা থেকে যদি মজুতের স্থান দূরে হতো- তাহলে এমন ঘটত না।
  • | ২৯ অক্টোবর, ২০২৪
মন্দিরে আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণ, আহত ১৫০ মধ্যরাতে শুরু হয় আতশবাজি।

ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি মন্দিরে আতশবাজি মজুদ করে রাখা একটি গুদামে সোমবার গভীর রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার রাতে কেরালার কাসারাগোদ জেলার অঞ্জুতাম্বালাম ভিরেকাভু মন্দিরে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর এনডিটিভির।


কেরালার স্থানীয় উৎসব থেয়াম উদযাপন করতে মন্দিরটিতে আতশবাজি পোড়ানোর আয়োজন ছিল। মধ্যরাতে শুরু হয় আতশবাজি পর্ব। এ সময় একের পর এক আতশবাজি জ্বালানো হতে থাকে। তবে সেগুলোর মধ্যে একটি বাজি মন্দির চত্বরের কাছে রাখা স্তূপের ওপর গিয়ে পড়ে। তারপরই ঘটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ।


প্রিয়েশ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী তার চাচাত-ফুফাত ভাইবোনদের সঙ্গে মন্দিরের আতশবাজি উপভোগ করতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, মন্দিরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। মাঝরাতে সবাই যখন উৎসবে মেতে আছি, হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শুনলাম, তারপরই মন্দিরের আতশবাজির গুদামের কাছে বড় একটি অগ্নিকুণ্ড দেখলাম। তারপর মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবকসহ বেশ কয়েকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মন্দিরের যে স্থানে আতশবাজি পোড়ানো হচ্ছিল, তার বেশ কাছেই ছিল বাজির মজুত। সারারাত ধরে আতবাজি পোড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যদি বাজি পোড়ানোর স্থান থেকে মজুত স্থানটি আর একটু দূরে হতো, তাহলে এত আহতের ঘটনা ঘটত না।


স্থানীয় পঞ্চায়েতের ‍সদস্য ই শাজির এ ঘটনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে এনডিটিভিকে বলেন, এখানে নিয়মিত আতশবাজি পোড়ানো হয় না। তাই এ ধরনের বাজির ঝুঁকি নিয়েও সাধারণ জনগণের তেমন ধারণা নেই। এখানে দোষ মূলত মন্দির কর্তৃপক্ষের। আতশবাজি পোড়ানোর জায়গা থেকে যদি মজুতের স্থান দূরে হতো- তাহলে এমন ঘটত না।