মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানের চারদিকে একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দেশটির চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।
ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের হামলার কথা উল্লেখ করে আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি সেনাপ্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদোলরহিম মুসাভির কাছে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি ইসরাইলি অপরাধের পরিণতি দখলদারদের জন্য অকল্পনীয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরনার।
চিঠিতে সালামি ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনে ৪ সেনা সদস্যের শহীদ হওয়ায় মুসাভির প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, আপনাদের, সাহসী সেনা কমান্ডার ও স্টাফদের পাশাপাশি শহীদদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইহুদিবাদী শিশু-হত্যাকারী সরকারের অবৈধ পদক্ষেপ ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির কারণে ব্যর্থ হয়েছে। যা যুদ্ধক্ষেত্রে তেলআবিবের ভুল হিসাব নিকাশ এবং অসহায়ত্বের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছে।
এর আগে, শনিবার এক বিবৃতিতে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটি জানিয়েছিল, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে ইসরাইলি হামলার মোকাবিলা করেছে। তবে কিছু অবকাঠামোর সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শনিবার ভোরে ইরানে চালানো ইসরায়েলের বিমান হামলা ছিল 'সুনির্দিষ্ট, শক্তিশালী এবং হামলার মাধ্যমে তাদের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। তবে, নেতানিয়াহুর এই আত্মতুষ্টির জবাবে ইরানের সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, আমাদের সেনাবাহিনী যে জবাব দেবে, তা কখনো কল্পনাও করতে পারবে না ইসরায়েলিরা।
তেলআবিবে তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রায় চার সপ্তাহ পরে ইসরায়েল শনিবার ভোরে ইরানের বিরুদ্ধে একটি দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত প্রতিশোধমূলক হামলা করে। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী কৌশলগত সামরিক সাইটগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে - বিশেষ করে ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন এবং উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এবং রাশিয়া থেকে পাওয়া অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৩০০ এর ওপরও হামলা চালায়।