ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তীব্র শক্তি নিয়ে এগোচ্ছে ‘কং-রে’

দ্বীপের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন পরিদর্শনের সময় তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জং-তাই জানান ‘টাইফুন ভয়ঙ্করভাবে আসছে’।
  • | ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
তীব্র শক্তি নিয়ে এগোচ্ছে ‘কং-রে’ টাইফুন কং-রে

ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে তাইওয়ানের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন কং-রে। বুধবার সুপার টাইফুনে পরিণত হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি আজ বৃহস্পতিবার স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন।


আবহাওয়াবিদদের মতে, সুপার টাইফুন কং-রে বছরের শেষে দিকে দ্বীপে আঘাত হানার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার হারিকেনের সমান বিধ্বংসী শক্তি অর্জন করেছে কং-রে। অতি শক্তিশালী টাইফুনটি বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কম জনবসতিপূর্ণ কাউন্টি তাইটুং-এ আছড়ে পড়তে পারে।


মঙ্গলবার দ্বীপের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন পরিদর্শনের সময় তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জং-তাই জানান ‘টাইফুন ভয়ঙ্করভাবে আসছে’। সতর্ক করে তিনি বলেন, কং-রে-এর ভারী বৃষ্টির কারণে পূর্ব তাইওয়ানে ভূমিধস এবং রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।


বুধবার (৩০ অক্টে সকালে সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়াবিদ চু মেই-লিন বলেন, টাইফুনটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় গোটা তাইওয়ানে রাতের শেষের দিকে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হতে পারে। মঙ্গলবার যখন ঝড়টি কাছাকাছি আসছিল তখন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন (সিডব্লিউএ) একটি সমুদ্র সতর্কতা জারি করে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত, সংস্থাটি দ্বীপটি ৫০ শতাংশের বেশি কাউন্টির জন্য সতর্কতা জারি করেছে। 


তিনি বলেন, পূর্বাভাসে দেখা গেছে, শক্তিশালী ঝড়টি সরাসরি দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ল্যান্ডফল করার আগে কিছুটা দুর্বল হতে পারে, কিন্তু তবুও এটি প্রবল বৃষ্টিপাত, জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিধসের ঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে। আমরা সবাইকে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। তিনি সতর্ক করে বলেন যখন টাইফুনটি ভূমি স্পর্শ করবে তখন ঢেউ ৮ মিটার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। 


বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন বলছে, বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ তাইওয়ানে আঘাত হানতে পারে সুপার টাইফুন কং-রে। এর কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষ দূরবর্তী দ্বীপগুলোর বাসিন্দাদের পেশাগত ও শিক্ষাগত কার্যক্রম স্থগিত করতে সতর্কবার্তা জারি করেছে। এছাড়া নৌযান নিয়ে জেলেরা ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন।