সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মিরপুর টেস্টে ৭ উইকেটে হারার পর চট্টগ্রাম টেস্টে আরও বাজে পারফর্ম করলো বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম টেস্টে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে দুই ম্যাচ টেস্টে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শুরু হওয়া টেস্টের তৃতীয় দিনেই হেরে গেল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৫৭৫ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এতে ফলোঅনের ফাঁদে পড়েছে স্বাগতিকরা। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হতো ৩৭৬ রান। কিন্তু তার আগে অলআউট হওয়ায় আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ।
এবারেও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা। মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছে তারা। এতে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়েও টিকে রইল প্রোটিয়ারা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৩১ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। এরপর ২ বলে শূন্য রান করে ফেরেন আগের ইনিংসে ৮২ রান করা মুমিনুল হক।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনে ব্যাট করতে নামা জাকির হাসানও। ২৬ বলে ৭ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। এরপর ২ বলে ২ রান করে অভিজ্ঞ মুশফিক লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে দলীয় ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মিরাজ ৬ রান করে আউট হলে পিচে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি শান্ত। ৫৫ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিনি। তাইজুল ১ রান করে আউট হলে হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
দিনের শেষ সময়ে কেশব মাহরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৬৪ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ৩০ বলে ৩৮ রান করে হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকলেও ৫ বলে শূন্য রান করে নাহিদা আউট হলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ইনিংস এবং ২৭৩ রানের ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের হয়ে এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন কেশব মাহরাজ। আরেক স্পিনার সেনুরান মুথুসামি নেন চার উইকেট। এ ছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন ডেন প্যাটারসন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ ম্যাচ নিয়ে ১৬ বার টেস্ট ক্রিকেটে মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। তবে কোন ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। ২০১৫ সালে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের দুটি ম্যাচও বৃষ্টির কারণে ড্র হয়েছিল। বাকি ১৪টি টেস্টেই হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।