ভারতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের আদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই আদেশ আপাতত স্থগিতের নির্দেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্ট। খবর আনন্দবাজার।
মঙ্গলবার (৭ মে) এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না।
স্থগিতাদেশের কারণ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তাহলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।
একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আপাতত কাউকে বেতন ফেরত দিতে হবে না। তবে এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের মুচলেকা দিতে হবে। পরে তাদের নিয়োগ ‘অবৈধ’ বলে প্রমাণিত হলে অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, সিবিআই যেমন অবৈধ নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল, সেভাবেই তদন্ত চালিয়ে যাবে। তবে সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
এই নির্দেশ অবশ্য চূড়ান্ত নয়। এই স্থগিতাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন। ১৬ জুলাই এই মামলার চূড়ান্ত নির্দেশ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে, চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, এসএসসিতে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় ২০১৬ সালের এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২২ এপ্রিল বাতিল ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানান, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। একইসঙ্গে যারা তাদের সম্পূর্ণ বেতনও সুদসহ ফেরত দিতে হবে।