অপেক্ষার পালা শেষ। মহারণ শুরুর মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। ভোটের উত্তেজনার পারদ এখন চূড়ায়। টানা এক বছর ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টির তুমুল প্রচারের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের দুইশ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট। ইতিহাস তৈরির হাতছানি কমলার সামনে। অপরদিকে গত নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি মুছে প্রত্যাবর্তনের প্রত্যয় ট্রাম্পের।
সর্বশেষ জনমত জরিপে জাতীয় পর্যায়ে কমলা সামান্য এগিয়ে থাকলেও দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে দুজনের ব্যবধান খুবই কম।
ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বাদ দিয়ে দলের সমর্থন পেয়েছেন কমলা। তার রানিং মেট হিসেবে আছেন টিম ওয়ালজ, আর ট্রাম্পের সহ-প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জে ডি ভ্যান্স।
ট্রাম্পকে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও নির্বাচনে তার অংশগ্রহণে কোনো বাধা আসেনি। নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থনীতি, অভিবাসন, নারীর গর্ভপাতের অধিকার, এবং গাজা যুদ্ধ নিয়ে দুই প্রার্থী তুমুল বিতর্কে লিপ্ত। কমলা নারীর গর্ভপাতের অধিকারকে তার প্রচারের মূল এজেন্ডা বানিয়েছেন, আর ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অবৈধ অভিবাসন বন্ধ এবং আমদানি পণ্যে উচ্চ করারোপের।
জনগণের সরাসরি ভোটে নয়, ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এতে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যার মধ্যে সাতটি রাজ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এসব রাজ্যে সামান্য ব্যবধানে ট্রাম্প ও কমলা এগিয়ে আছেন।
নির্বাচনের আগে সহিংসতার আশঙ্কা থাকায় দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প পরাজিত হলে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সহিংসতা উসকে দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।
এবারের নির্বাচনটি ঐতিহাসিক হতে চলেছে। কমলা জয়ী হলে তিনি হবেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট, আর ট্রাম্প জয়ী হলে তিনি প্রথম ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত প্রেসিডেন্ট হবেন।