চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে ছুরি হামলায় কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ইউনান প্রদেশের ঝেনজিয়ং পিপলস হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইউনান প্রদেশের ঝেনজিয়ং পিপলস হাসপাতালে ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দু’জন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের এই সংখ্যা চূড়ান্ত নয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সংবাদমাধ্যম ‘দ্য পেপারে’ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চীনা সংবাদমাধ্যম দ্য পেপারে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালে কালো পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি ছুরি হাতে একের পর এক লোকজনের দিকে ছুটে যাচ্ছেন আর আঘাত করছেন। এ সময় ওই ব্যক্তির সামনে অপর একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও তাকে ছুরিকাঘাত করেননি ওই হামলাকারী।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঝেনজিয়ং পিপলস হাসপাতালের বাইরে পুলিশের একাধিক গাড়ি অবস্থান নিয়েছে। এ সময় পুলিশের কমপক্ষে এক ডজন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালাতে দেখা যায়। হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে কাছের গাড়ি পার্কিংয়ের এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারী ব্যক্তি ঝেনজিয়ংয়ের পোজি শহরের। দেশটির কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।
চীনা গণমাধ্যম হংজিং নিউজ জানায়, কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের দরজা বন্ধ করে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়া অপরিচিতদের এড়িয়ে চলতেও বলা হয়েছে।
চীনে আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ হলেও গত কয়েক বছরে দেশটিতে ছুরি হামলার ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে গত বছরের আগস্টে ইউনানের একটি আবাসিক জেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি ছুরি হামলা চালান। এই হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত ও আরও সাতজন আহত হন। একই বছরের জুলাইয়ে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ছুরি হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র: বিবিসি।