ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন ভোটাররা

ভোটারদের কাছে অর্থনীতি প্রধানতম ইস্যু হলেও এবারের বুথফেরত জরিপে গণতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনীতির দূরত্ব ছিল সামান্যই।
  • | ০৬ নভেম্বর, ২০২৪
গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন ভোটাররা ভোট শেষ, চলছে গণনা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট শেষে চলছে গণনা। ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে ফলাফল। ২০২৪ সালের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন ভোটাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে মূলত দুটি বিষয়। আর তা হচ্ছে- গণতন্ত্র ও অর্থনীতি। এক্সিট পোল বা বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক তথ্যে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।


বুধবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে গণতন্ত্র আর অর্থনীতির অবস্থা। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভোটার তাদের গুরুত্বের তালিকায় গণতন্ত্রকে শীর্ষে রেখেছেন। আর তারপরই জায়গা পেয়েছে অর্থনীতি, গর্ভপাত, অভিবাসন এবং বৈদেশিক নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।


বিবিসি বলছে, ২০০৮ সালের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই ভোটারদের কাছে অর্থনীতি প্রধানতম ইস্যু হলেও এবারের বুথফেরত জরিপে গণতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনীতির দূরত্ব ছিল সামান্যই। প্রায় ৬০ শতাংশ হ্যারিস সমর্থক গণতন্ত্রকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।


অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রায় ৫০ শতাংশ সমর্থক অর্থনীতিকে শীর্ষে রেখেছেন, যেখানে কমলা হ্যারিসের সমর্থকদের মাত্র ১০ শতাংশ তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তবে উভয়পক্ষের মধ্যেই গণতন্ত্র নিয়ে সমান উদ্বেগ রয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার বলেছেন, তারা গণতন্ত্র নিয়ে ‘অনেক’ বা ‘কিছুটা’ হুমকির আশঙ্কা করছেন। আর প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় সাতজন ভোটার নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে সহিংসতার বিষয়ে চিন্তিত। অন্যদিকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার জাতীয় অর্থনীতির অবস্থা ‘খারাপ’ বলে মনে করেন, তবে এ সংখ্যা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যেই বেশি।


প্রসঙ্গত, এবার যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২৪ কোটি ৪০ লাখ ভোট দেওয়ার যোগ্য নাগরিক রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন ভোট দিয়েছেন, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শুরুর আগে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট দিয়েছিলেন প্রায় ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।