ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় আয়ারল্যান্ড

কিছুদিন আগেই আইরিশ সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
  • | ১০ নভেম্বর, ২০২৪
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় আয়ারল্যান্ড আইরিশ পার্লামেন্ট।

আইরিশ আইনপ্রণেতারা দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন, যেখানে ইসরায়েলের শাসন নীতিকে একটি অপরাধমূলক শাসন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আইরিশ পার্লামেন্ট এমন সময় এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যখন বিশ্বের চোখের সামনে এখন গাজায় গণহত্যা চলছে। পালনে বাধ্যবাধকতা নেই এমন ধরনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আইরিশ সরকারকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক ভ্রমণ এবং কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলা হয়েছে। খবর মেহের নিউজের।



এই পরিকল্পনা অনুমোদনের মাধ্যমে আইরিশ আইনপ্রণেতারাও দাবি করেছেন যে এই দেশটির সরকার অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্রের ক্ষেত্রে সব লেনদেন স্থগিত করবে। এছাড়া তেলআবিবে অস্ত্র বহনকারী বিমানের জন্য আকাশসীমা এবং আয়ারল্যান্ডের বিমানবন্দরের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা উচিত বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেন তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছেন।


আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এর আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের মামলায় যেকোনো সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে ডাবলিনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কিছুদিন আগেই আইরিশ সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। 


আয়ারল্যান্ডের এই পদক্ষেপটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর বাইরে সংঘটিত হয়, যখন এই ইউনিয়নের ইসরায়েলি সমর্থকরা এই ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড এবং স্পেনের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। এই দুটি দেশ স্লোভেনিয়া এবং লুক্সেমবার্গের সঙ্গে একত্রে এই মহাদেশে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী আন্দোলন গড়ে তোলে এবং ইউরোপে ইসরায়েলি পণ্য বিশেষ করে খাদ্য ও শিল্প পণ্য রফতানি রোধ করার চেষ্টা করে। 


ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, যার বাণিজ্যের পরিমাণ গত বছর প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে এই বছরের শুরু থেকে আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইসরায়েলের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তি স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছে এবং এটিকে সমর্থন করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে পররাষ্ট্র নীতির দায়িত্বে থাকা জোসেফ বোরেল। কিন্তু ইসরায়েলকে সমর্থনকারী দেশগুলো বিশেষ করে অস্ট্রিয়া এবং জার্মানি এই পদক্ষেপে বাধা সৃষ্টি করে।