গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা আওয়ামী লীগের কুচক্রী মহলের ১০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ উস্কানিমূলক পোস্টার, ছবিসহ প্ল্যাকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। তবে এ খবরকেই ভুল এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অতিরঞ্জিতভাবে প্রকাশ করে ভারতের ইন্ডিয়া টুডেসহ একাধিক গণমাধ্যম।
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানো বিপুলসংখ্যক প্ল্যাকার্ডসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে খবরটি ভিত্তিহীন এবং ফ্যাক্টচেকের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ ভেরিফায়েড পেজ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের কোনো গ্রেপ্তার বা দমন অভিযানের ঘটনা ঘটেনি। রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে রোববার দেশে গণহত্যা, দুর্নীতি ও কোটি কোটি ডলার পাচারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন নেতাকর্মী, কর্মকর্তা ও সদস্যদের ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টার বহন করার এবং গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়ার কারণে তারা সেগুলো বহন করছিল। আটককৃতরা পুলিশকে বলেছে যে তারা মার্কিন রাজনীতি অনুসরণ করে না, শুধুমাত্র হাসিনার নির্দেশে ট্রাম্পের পোস্টার বহন করেছিল।
এরপর ভারতীয় গণমাধ্যমের ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, আগস্টে অভূতপূর্ব বিপ্লবের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কিছু ভারতীয় সংবাদপত্র ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে আক্রমণাত্মকভাবে ভুল তথ্য প্রচার করছে। তারা বিপ্লবোত্তর দিনগুলোতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করেছে। আজকে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায়ও তারা একইভাবে অতিরঞ্জিত করেছে।
