হঠাৎ করে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার শীতল সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য ইরানের রাজধানী তেহরান সফর করেছেন সৌদি সেনাপ্রধান ফায়াদ আল-রুয়ালি। রোববার (১০ নভেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদি সেনাপ্রধান। এরপরই সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে রোববার ফোন করেছেন।
এ সময় পেজেশকিয়ান ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং লেবাননে অব্যাহত ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি যৌথ আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য সৌদির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন ইরানের রাষ্ট্রপতি।
গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলের যুদ্ধের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে আরব ও মুসলিম নেতারা সোমবার রিয়াদে ওই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সৌদি এখনো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেনি। তবে মার্কিন মধ্যস্থতায় সৌদির ঘনিষ্ঠ হতে চায় ইসরায়েল। গত কয়েক বছরে ট্রাম্পের মেয়ের জামাই জ্যারেড কুশনার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এ নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি সেনাপ্রধান রুয়ালি তেহরানে উচ্চপর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধিদল সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে গত বছর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান আল সউদের সঙ্গে ফোনালাপ করেন বাঘেরি। ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় তেহরান ও রিয়াদ সাত বছরের সংঘাত দূর করে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে।