গাজীপুরে সমঝোতার পর ৫৪ ঘণ্টা ধরে অবরোধ করা সড়ক থেকে আজ দুপুর ২টায় সরে যান শ্রমিকরা। তবে নিজেদের মধ্যে আলাপ করে-এর দেড় ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে ৩টায় তারা আবারও সড়ক অবরোধ করেন। ফলে ঢাকা-ময়সনসিংহ রুটে আবারও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল কলম্বিয়া এলাকায় টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে দুই দিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন। জানা যায়, আজ দুপুর ২টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান মোবাইল ফোনে শ্রমিকদের ৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। তবে নিজেদের মধ্যে কিছু সময় আলোচনার পর দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে আবারও তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এর আগে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ মিয়া বলেন, ‘শ্রমিকদের পাওনাদি কীভাবে পরিশোধ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে স্যারের (সচিব) সঙ্গে আলোচনা করবো। এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা আজকের মতো অবরোধ ছেড়ে দেন।’তিনি বলেন, ‘বেতন না পেলে মহাসড়ক ছাড়বো না’—এই দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে শক্ত অবস্থান নিলে এক মাসের বেতন আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রদান করা হবে বলে মুঠোফোনে শ্রম সচিব প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে টিএনজেড গ্রুপের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।’ তবে সাড়ে ৩টার দিকে তারা আবারও রাস্তা অবরোধ করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) নাজির আহমেদ বলেন, ‘সোমবার দুপুর ১টার পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্য সেখানকার মাইকে প্রচার করা হয়।’ এ সময় সেখানে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, শিল্প পুলিশ ও আন্দোলনকারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীসাধারণ। কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ফের শ্রমিকরা সড়কে নামায় আবারও যান চলাচল স্থবির হয়ে আসছে।
