আগামী বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়ার কাজ শুরু করতে কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করতে কর্মকর্তাদেরকে সোমবার (১১ নভেম্বর) নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পশ্চিমতীর দখলের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন লাভের জন্য ইসরায়েল সরকারকে তাগাদা দেবেন বলেও জানিয়েছেন স্মোট্রিচ। খবর আনাদোলুর।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়াও বেজালেল স্মোট্রিচ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে আছেন। অধিকৃত পশ্চিমতীরের ইহুদি বসতিগুলো তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিমতীরের ‘সার্বভৌমত্বের’ স্বীকৃতি দেবে বলে স্মোট্রিচ আশা প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাদাভাবে বলেছেন, এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিষয়টি আগামীতে ওয়াশিংটন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় স্থান পেতে পারে। স্মোট্রিচ অনেক বছর ধরেই পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের আহ্বান জানিয়ে আসছেন, যে ভূখন্ডে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র চায় ফিলিস্তিনিরা।
সোমবার স্মোট্রিচ পার্লামেন্টে তার কট্টর-ডান দলের বৈঠকে বলেছেন, তিনি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষকে (পশ্চিম তীর) সার্বভৌমত্ব বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরির প্রস্তুতি নিতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুরোদস্তুর কাজ শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্মোট্রিচের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে এসেছে। ইসরায়েলকে পশ্চিমতীরে ইহুদি বসতি না বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছে তারা। ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইসরায়েল এবং ওয়াশিংটনের মধ্য আলোচনা হয়। তবে পশ্চিমতীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা তখন হয়নি।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব ভূখন্ড দখল করে তার মধ্যে আছে পশ্চিমতীর। ওই এলাকায় ফিলিস্তিনিরা আন্তর্জাতিক সমর্থনের ভিত্তিতে স্বাধীন রাষ্ট্র চায়। বিশ্বের বেশিরভাগ ক্ষমতাধর দেশেই পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের ইহুদি বসতি স্থাপনকে অবৈধ হিসাবে দেখে।