ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটি নেতানিয়াহুর ‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এক বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেছেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তৃতায় বিপ্লবী গার্ডের এই প্রধান বলেছেন, ‘আইসিসির পরোয়ানার অর্থ ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের অবসান এবং রাজনৈতিক মৃত্যু। ইসরায়েল এমন এক রাষ্ট্র যা আজ বিশ্বে পুরোপুরি রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে রয়েছে এবং তাদের কর্মকর্তারা অন্য কোনও দেশে আর ভ্রমণ করতে পারেন না।’
ইরানের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় আইসিসির পরোয়ানা জারির ঘটনাকে ‘স্বাগত জানানোর মতো পদক্ষেপ’ এবং ‘ফিলিস্তিনি ও লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্য মহান বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন সালামি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আইসিসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা। একই দিনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করে হেগের ওই আদালত।
আইসিসির এমন পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর চলাচল সীমিত করে ফেলবে। কারণ, আন্তর্জাতিক এই আদালতের ১২৪ সদস্য রাষ্ট্রের যে কেউ তাদের ভূখণ্ড থেকে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবে।