উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানে শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক ইসরায়েলি নারী জিম্মির প্রাণহানি ঘটেছে বলে দাবি করেছে হামাস। হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হামাসের সশস্ত্র শাখা শনিবার বলেছে, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার সময় জিম্মি করে রাখা এক ইসরায়েলি নারী উত্তর গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে এ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। খবর তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর।
আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ পরে নারী জিম্মিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজায় সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনকি সেখানে ত্রাণের ট্রাকসহ সবধরনের মানবিক কর্মসূচিও ভণ্ডুল করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
আবু ওবেদার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ওই নারী জিম্মির নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার বিবৃতিতে এটি পরিষ্কার নয়, কিভাবে বা কখন তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে যে তারা দাবিটি খতিয়ে দেখছে।
হামাসের যোদ্ধারা ২৫১ জনকে জিম্মি করে, যাদের মধ্যে ৯৭ জন এখনও গাজায় বন্দি রয়েছে। যার মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে। বাকি ১২১ জন গত বছরের নভেম্বরের এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পান।
এই নারী জিম্মির মৃত্যুর ঘটনায় গাজায় আটক জিম্মিদের দ্রুত মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলি সরকারের ওপর আরে চাপ বাড়লো। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিই জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনার সেরা বিকল্প। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেয়নি।